ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে আনন্দময় উৎসবের নাম ঈদ। তাইতো ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা।
এ আনন্দে অন্য সবার মতোই শরিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররাও। এবার তাদের বেশিরভাগই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন ঢাকায়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে বাড়ি যেতে পারেননি। যারা ঢাকার বাইরে গিয়েছেন তারা পরিস্থিতির কারণে বাড়তি সতর্ক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঈদের খুশিতে পড়েছে ভাটা। তবুও ঈদ বলে কথা। চার দেয়ালে পরিবার নিয়েই ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নেবেন ক্রিকেটাররা।
জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঢাকায় ঈদ পালন করবেন। মুশফিকুর রহিম বাবা-মার সঙ্গে ঈদ কাটাতে গিয়েছেন বগুড়ায়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন গিয়েছেন ময়মনসিংহে।
এছাড়া সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজের ঠিকানা ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল। তাদেরকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হচ্ছে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঢাকায় ঈদ কাটাবেন। মিথুন, ইমরুল, তাসকিন, আফিফ আছেন ঢাকাতেই। ঢাকার বাইরে যাওয়ার তালিকাটাও কম লম্বা নয়। রুবেল, শরিফুল, মিরাজ, মাহেদী, মুমিনুল, তাইজুলরা এরই মধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে গেছেন।
ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যতটা সম্ভব ঘর থেকে বের না হতে বলা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফ থেকে।
ঈদের সপ্তাহখানেক পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিন ওয়ানডে খেলতে ১৬ মে বাংলাদেশে আসছে শ্রীলঙ্কা। এদিকে ঈদের পর ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি। ওই দল নিয়ে অনুশীলন শুরু হবে। ২৩, ২৫ ও ২৮ মে দিবারাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।